কর্মশালার শুরুতেই দারসুল কোরআন পেশ করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশবাসীর নিকট ৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মসূচি পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় ধাপে ৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে আমাদের এই ৫ দফা গণদাবি জনগণের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশের জনগণ এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে রাজপথে নেমে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকারের উচিত অবিলম্বে জনগণের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। সরকার যদি জনগণের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে এবং বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধান না করে, তাহলে দেশের জনগণ তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কঠোর হতে বাধ্য হবে।
কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ এবং সদস্য মোবারক হোসাইন। পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষক কর্মশালায় ডেলিগেটরাও বক্তব্য দেন।